গৃহকর্মী ফারজানা আক্তারকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমির জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান মিয়া জামিন বাতিলের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এই আসামি সুমি আগে আত্মসমর্পণ করার সময় জামিনের আবেদনে যে স্বাক্ষর করেছিলেন আজকে দেখি অন্যরকম স্বাক্ষর। এজন্য আদালতে ভুয়া হাজিরা দেওয়ার কারণে আইনজীবীকে কারণ দর্শানো ও জামিন বাতিলের আবেদন করি। আদালত সুমির জামিন বাতিল করেন। এছাড়া আইনজীবীকে এই রকম হাজিরা দাখিলের জন্য সর্তক করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফারজানাকে ২০১৫ সালে মাসিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে সামিয়ার বাসায় কাজে দেয় পরিবার। কাজে যোগদান করার পর থেকেই সামিয়া ফারজানাকে বিভিন্ন তুচ্ছ কারণে মারপিট করতেন। পেটের দায়ে সব অত্যাচার নীরবে সহ্য করে আসছিল সে।
গত ১৫ জানুয়ারি ঘর গোছানো ও বাসন-পত্র ভেঙে ফেলার মিথ্যা অভিযোগে এবং কাজে দেরি হওয়ার তুচ্ছ অজুহাতে সামিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ফারজানাকে লাঠি নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাকে লোহার খুন্তি গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেন। এতে মারাত্মকভাবে আহত হয় ফারজানা।
এ ঘটনায় ফারজানার বাবা বিল্লাল হোসেন ভূইয়া কলাবাগান থানায় ২০ জানুয়ারি মামলা দায়ের করে।